অনলাইন আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ক্ষেত্রে হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্লগিং! ব্লগিং
করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করছেন বিশ্বের সেরা প্রফেশনাল ব্লগাররা। তাহলে
আপনি পারবেন না কেন? অবশ্যই পারবেন! আর হ্যাঁ, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই
হতে হবে প্রফেশনাল ব্লগার। প্রফেশনাল ব্লগার হতে হবে শুনেই হতাশ? হ্যাঁ,
আমি জানি। আমাদের এটাই এক বড় বদ অভ্যাস। বাস্তবায়নযোগ্য স্বপ্ন দেখতেও আমরা
ভয় পাই। প্রফেশনাল ব্লগার আপনি নিশ্চয়ই এক রাতে হবেন না? প্রফেশনাল ব্লগার
হতে আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। আর নেশার মতো ব্লগিং করতে হবে বছরের পর
বছর। তবেই আপনিও ব্লগিং করে হতে পারবেন মিলিনিয়ন মিলিয়ন ডলারের মালিক!
এ তো গেল মিলিয়ন ডলারের কথা! এবার আসি বাস্তব কথায়! বাংলাদেশে ব্লগিং এখনও
সেই পর্যায়ে যায়নি। তাই বাংলা ব্লগিং -এ মিলিয়ন ডলার আয়ের কথা ঠিক এই
মুহূর্তে ভাবলে পাগলের প্রলাপের সামিলই হবে! কিন্তু বাংলা ব্লগিং যাত্রা
কেবল শুরু করেছে। আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছর পরে ব্লগিং জগতে বাংলা
ব্লগিংও সম্মানিত আসন পাবে। আমাদের দেশের এখন ব্লগারদের অধিকাংশ শ্রেনীই
ইংরেজী ব্লগিং -এর সাথে জড়িত। কারণ কি জানতে চান? আয়, আয় এবং আয়। জি,
ব্লগিং করে আয় সম্ভব বলেই আমরা আজ নিজের ভাষার ব্লগিং ছেড়ে ইংরেজী ব্লগিং
এর পথে। আমি এর বিরোধিতা করছিনা। তবে আশা করছি আমরা ইংরেজী ব্লগিং এর
পাশাপাশি দেশের স্বার্থে বাংলা কন্টেন্ট সমৃদ্ধ করতে বাংলা ব্লগিং করব।
যারা ইতিমধ্যে প্রফেশনাল ব্লগিং -এ আছেন। তাঁরা সবাই ব্লগিং করে আয়
সম্পর্কে অবগত। কিন্তু নবীন ব্লগারদের অনেক আগ্রহ ব্লগিং থেকে আয়ের প্রতি।
তাদের কৌতুহল মেটাতে আজ লিখছি ব্লগিং করে আয়ের কৌশলসমূহ। আর ব্লগিং করে
আয়ের এই পথগুলো মূলত ইংরেজী ব্লগিং কে ভিত্তি করেই লেখা। কারণটা ইতিমধ্যেই
বলেছি। বাংলা ব্লগিং এখনও সেরকম পর্যায়ে যায়নি। তবে চলুন জেনে নেই, কি কি
পথে একজন ব্লগার আয় করে থাকেনঃ
ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয়
অনলাইন আয়ের বিশাল এক ক্ষেত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আলাদা একটি ক্ষেত্র হলেও ব্লগিং -এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত। নবীনদের কাছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নতুন কোন শব্দ। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। এক কথায় আমি আপনাকে বলতে পারি, কোন প্রতিষ্ঠানের পন্য কমিশনের বিনিময়ে অনলাইনে বিক্রি করিয়ে দেয়াই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এখন প্রশ্ন, ব্লগিং এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্পর্কটা কি? ধরুন, আপনার সফটওয়্যার বিষয়ক কোন ব্লগটি আছে। সেখানে যথেষ্ট ভিজিটরসও আছে। তাহলে আপনি কোন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রিমিয়াম সফটওয়্যার কমিশনের মাধ্যমে অনলাইনে সেল করার চুক্তি করলেন। আর সে মোতাবেক, আপনার ব্লগটিতে ঐ অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টটি সেল করার জন্য পোস্ট লিখলেন অথবা বিজ্ঞাপন দিলেন। আর সেখান থেকে যে পরিমাণ সেল হবে সে অনুযায়ী চুক্তি মোতাবেক কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন। আর এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে, ব্লগ থেকে আয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।স্পন্সরড পোস্টের মাধ্যমে আয়
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হয়ে থাকেন এবং আপনার ব্লগটি জনপ্রিয় একটি ব্লগ হয়ে থাকে। তাহলে স্পন্সরড পোস্টও হতে পারে আপনার স্মার্ট আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম। স্পন্সরড পোস্ট সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য বলি, আপনার ব্লগে কোন প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধের বিনিময়ে তাদের কোন পোস্ট প্রকাশ করলে সেটাকেই বলে স্পন্সরড পোস্ট। স্পন্সরড পোস্টকে পেইড পোস্টও বলা হয়ে থাকে। তবে জনপ্রিয় ব্লগগুলোতেই সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সরড পোস্ট দিতে আগ্রহী।আপনার প্রতি শুভ কামনা রেখে শেষ করছি আজকের পোস্ট। আল্লাহ হাফেজ...
APnar Whatsapp number ta din
ReplyDeleteWhatsapp Use Kori Na Vai
Delete