
আনবক্সিং:
Primo D6 স্মার্টফোনটির বক্সে যা যা রয়েছে –
- হ্যান্ডসেট
- ব্যাটারী
- চার্জার অ্যাডাপ্টার
- ডাটা ক্যাবল
- ইয়ারফোন
- ইউজার ম্যানুয়াল
- ওয়ারেন্টি কার্ড
বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইন:
আকর্ষণীয় ডিজাইনের প্রিমো D6 এর নিচের অংশে আছে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও পোর্ট আর উপরের অংশে ইউএসবি ২.০ পোর্ট। এছাড়া ফোনটির একপার্শ্বে আছে ভলিউম কী ও পাওয়ার কী।
পেছনের অংশে উপরের দিকে আছে রিয়ার ক্যামেরার লেন্স ও ফ্ল্যাশলাইট আর নিচের
দিকে রয়েছে স্পীকার, আর সম্মুখভাগে ফ্রন্ট ক্যামেরা, সেন্সর ইত্যাদি।
১২৩ মিলিমিটার উচ্চতার এই ফোনটি প্রস্থে ৬৩ মিলিমিটার আর এর পুরুত্ব ৯.৯
মিলিমিটার। বেশ হালকা গড়নের এই ফোনের ওজন মাত্র ১১০ গ্রাম (ব্যাটারিসহ)।
ডিসপ্লে:
এই ফোনে ৪ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে, আর এর ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন হলো ৪৮০x৮০০ পিক্সেল।
অপারেটিং সিস্টেম:
Primo D6 ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে কিছুটা ব্যাকডেটেড অ্যান্ড্রয়েড
৪.৪.২ কিটক্যাট ব্যবহার করা হয়েছে, তবে এতে OTA আপডেট থাকায় ভবিষ্যতে আরও
আপডেট পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

ইউজার ইন্টারফেস:
দেখে নিন অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাটচালিত এই ফোনের ইউজার ইন্টারফেস -
দেখে নিন অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাটচালিত এই ফোনের ইউজার ইন্টারফেস -
হোমস্ক্রিন:

অ্যাপ ড্রয়ার:

নোটিফিকেশন বার:

উইজেট:

প্রসেসর, জিপিউ ও অন্যান্য:
১.২ গিগাহার্টজ কোয়াডকোর প্রসেসরের Walton Primo D6 এ মিডিয়াটেকের MT6582 চিপসেট ব্যবহৃত হয়েছে, আর এতে জিপিউ হিসেবে আছে মালি-৪০০। এই ফোনের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি কিংবা গেমিং পারফরম্যান্স মোটামুটি।
১.২ গিগাহার্টজ কোয়াডকোর প্রসেসরের Walton Primo D6 এ মিডিয়াটেকের MT6582 চিপসেট ব্যবহৃত হয়েছে, আর এতে জিপিউ হিসেবে আছে মালি-৪০০। এই ফোনের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি কিংবা গেমিং পারফরম্যান্স মোটামুটি।

মেমোরি:
Primo D6 এ ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরী দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২.৩৪ গিগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। তবে এতে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মাইক্রো-এসডি কার্ড ব্যবহার করে এর ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।
Primo D6 এ ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরী দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২.৩৪ গিগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। তবে এতে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মাইক্রো-এসডি কার্ড ব্যবহার করে এর ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।

আর এন্ট্রি লেভেলের এই ফোনে ৫১২ মেগাবাইটের র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪৫৮ মেগাবাইট ব্যবহারযোগ্য।

গেমিং পারফরম্যান্স:
স্বল্পবাজেটের এই ফোনটি সাধারণ গেমিংয়ের জন্য মন্দ নয়। কোয়াডকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ এই ফোনে বিভিন্ন ধরণের গেম বেশ স্মুথলি খেলা যায়, তবে এর র্যাম মাত্র ৫১২ মেগাবাইট হওয়ায় এইচডি গেম খেলতে খানিকটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে স্বল্পর্যামবিশিষ্ট এই ফোনে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস, টেম্পল রান ২ প্রভৃতি জনপ্রিয় গেম কোন ধরণের ল্যাগিং ছাড়াই খেলা গেছে।
স্বল্পবাজেটের এই ফোনটি সাধারণ গেমিংয়ের জন্য মন্দ নয়। কোয়াডকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ এই ফোনে বিভিন্ন ধরণের গেম বেশ স্মুথলি খেলা যায়, তবে এর র্যাম মাত্র ৫১২ মেগাবাইট হওয়ায় এইচডি গেম খেলতে খানিকটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে স্বল্পর্যামবিশিষ্ট এই ফোনে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস, টেম্পল রান ২ প্রভৃতি জনপ্রিয় গেম কোন ধরণের ল্যাগিং ছাড়াই খেলা গেছে।

ক্যামেরা ও মাল্টিমিডিয়া:
Primo D6 এ ২ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরার পাশাপাশি আছে ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা। আর রিয়ার ক্যামেরায় আছে এলইডি ফ্ল্যাশ সুবিধা।
Primo D6 এর ক্যামেরা সেটিংস-
Primo D6 এ ২ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরার পাশাপাশি আছে ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা। আর রিয়ার ক্যামেরায় আছে এলইডি ফ্ল্যাশ সুবিধা।
Primo D6 এর ক্যামেরা সেটিংস-

Primo D6 এর ক্যামেরায় তোলা ছবিঃ


Primo D6 এ রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক। এর সাথে যে হেডফোনটি দেওয়া হয় তার সাউন্ড কোয়ালিটি মোটামুটি মানের, এর অডিও সাউন্ড কোয়ালিটিও বেশ সুন্দর।
আর এই ফোনে ১০৮০ পি ফুল এইচডি ভিডিও কোন ধরণের ল্যাগ ছাড়াই চলেছে।
কানেক্টিভিটি:
এই ফোনে ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াইফাই, ওয়্যারলেস হটস্পট প্রভৃতি কানেক্টিভিটি সুবিধা রয়েছে। এছাড়া জিপিএস নেভিগেশন সুবিধাতো রয়েছেই। Primo D6 এ আছে ২টি সিম ব্যবহারের সুবিধা। এর উভয় সিমেই থ্রিজি সুবিধা উপভোগ করা যায়।
সেন্সর:
ওয়ালটনের নতুন এই ফোনে সেন্সর হিসেবে অ্যাক্সিলেরোমিটার ও প্রক্সিমিটি সেন্সর ব্যবহৃত হয়েছে।
ব্যাটারি:
৪ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে সংবলিত Primo D6 এ ১,৫৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। এর ব্যাটারী ব্যাকআপ বেশ ভালোই। একবার ফুল চার্জ দিলে টানা ৫-৫.৫ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়। এছাড়া একবার ফুল চার্জে টানা প্রায় ৫ ঘন্টা এইচডি ভিডিও উপভোগ করা যায়।
OTA আপডেট সুবিধা:
এই ফোনে OTA বা Over The Air আপডেট সুবিধা রয়েছে, যার ফলে পিসির সাথে সংযুক্ত করা ছাড়াই এর সফটওয়্যার আপডেট করা যাবে।

বেঞ্চমার্ক:
Primo D6 এর বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাইয়ের জন্য বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের জনপ্রিয় অ্যাপ AnTuTu বেছে নেওয়া হয়েছিলো। AnTuTu তে এর স্কোর এসেছে ১৯,০২০; এন্ট্রি লেভেলের ফোনে যা অনেকটাই অবিশ্বাস্য !

বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের আরেক অ্যাপ Nenamark এ Primo D6 এর স্কোর এসেছে ৬০.১

একনজরে Primo D6 এর উল্লেখযোগ্য ফিচারসমূহ-
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম
- ৪ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে
- ১.২ গিগাহার্জ গতির কোয়াডকোর প্রসেসর
- ৫১২ মেগাবাইট র্যাম
- মালি ৪০০ জিপিউ
- ২ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা
- ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরী
- ডুয়েল সিম
- ১,৫৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী
দাম:
প্রয়োজনীয় নানা ফিচারসংবলিত Primo D6 স্মার্টফোনটির মূল্য মাত্র ৩,৮৫০ টাকা
যেসব কারণে ভালো লাগবে Primo D6:
- স্বল্পমূল্য
- Over The Air আপডেট
- ইউনিফাইড স্টোরেজ
স্বল্পমূল্যের ফোন হিসেবে এন্ট্রি লেভেলের এই ফোনের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা নেই।
উপসংহার:
৪ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে প্রয়োজনীয় নানা ফিচারের স্মার্টফোন কিনতে চাইলে Walton Primo D6 পছন্দের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে আরও অধিক ফিচারসম্পন্ন স্মার্টফন এমন সুলভে বাজারে আনবে ওয়ালটন – এমনটাই প্রত্যাশা।
সবাই ভালো থাকুন।
Post a Comment